মোঃ হাফিজুর রহমান, মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
পবিত্র রমজানকে পুঁজি করে যাতে কোনো অসাধু ব্যবসায়ীগন পন্যে মুল্যবৃদ্ধি করে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেই লক্ষ্যে টাঙ্গাইল মধুপুর উপজেলায় বাজার মনিটরিং করেন, মধুপুরের উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া।রবিবার (২মার্চ২০২৫) বিকেলে রমজানের প্রথমদিনে পৌর শহরের বাজার মনিটরিং করেন মধুপুর প্রশাসক।
এসময় অতিমাত্রাতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা এবং ট্রেড লাইসেন্স না থাকার অপরাধে ৫টি মামলায় ৫ জন ব্যবসায়ীকে প্রথম অবস্থায় ৩হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।উক্ত মোবাইল কোর্টটি পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া।অভিযান পরিচালনার সময় তিনি বলেন, আজ রমজানের প্রথম দিন যেকারণে দোকানদারদের সর্তকতামুলক জরিমানা করা হয়েছে। যদি পরবর্তীতে একই অপরাধে অভিযুক্ত হন সে ক্ষেত্রে জরিমানা বৃদ্ধি করা হবে বলে তিনি জানান। তাকে সহায়তা প্রদান করেন মধুপুর থানার চৌকস পুলিশের একটি দল।
রমজানের শুরুতেই বাজারে অভিযান পরিচালনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। এ অভিযান শুধু শহরেই সীমাবদ্ধ না রেখে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে পরিচালনার পরামর্শ দেন তারা।শহরের চেয়ে গ্রাম অঞ্চলের বাজার গুলোতে বর্তমানে সকল পণ্যের দাম অনেক বেশি রাখার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে ক্রেতা সাধারণের।সরেজমিনে উপজেলার কুড়ালিয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়।
গোখাদ্যের মুল্যবৃদ্ধি না হলেও প্রতিকেজি গাভীর দুধ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা পর্ষন্ত যা একদিন আগেও বিক্রি হতো ১০০টাকায়। সাগর কলা বিক্রি করা হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা যা কদিন আগেও বিক্রি হতো ১০ থেকে ১৫টাকায়। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ৩/৪ জন মাছ ব্যবসায়ী ২/৩ প্রকারের মাছ বিক্রি করছেন চড়াদামে। বাজারে অন্য কাউকে মাছ বিক্রি করতে দেওয়া হয়না বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। যে কারণে বিভিন্ন প্রকার মাছ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর খোলা জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে ইফতারী। এসব বাজার গুলোতে মনিটরিং করার অনুরোধ জানিয়েছেন গ্রামের জনসাধারণ।বাজার নিয়ন্ত্রণে তৎপর মধুপুর প্রশাসন।
إرسال تعليق