সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে ও আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি ক্যাডার কমকর্তাদের

সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে ও আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি ক্যাডার কমকর্তাদের


মোঃ আহসান হাবীব সুমন, স্টাফ রিপোর্টার:
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ইউনিট জামালপুর, বিদ্যমান জনপ্রশাসনকে জনবান্ধব করা, জনকল্যাণমূলক করা এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য সংস্কারের লক্ষ্যে অন্তবর্তী সরকার গঠন করেছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। বিভিন্ন পেশার কাজের অভিজ্ঞতায় জনবান্ধব সিভিল সার্ভিস বিনির্মাণে কমিশনকে সহযোগিতায় করার নিমিত্তে ২৫ টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত হয় বৈষম্য নিরসন পরিষদ। আন্ত ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের আহবানে প্রশাসন ক্যাডার কর্তৃক বিভিন্ন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে ও আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বক্তব্য রাখেন,(১)জনাব মোঃআসলাম হোসেন প্রভাষক বাংলা ডিপার্টমেন্ট, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ (২)জনাব মোঃশাকের আহমেদ চৌধুরী সহকারি অধ্যাপক রাষ্ট্রবিজ্ঞান,সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ (৩) জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন সহকারি অধ্যাপক ইংরেজি সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ (৪) প্রফেসর জনাব মোঃ আব্দুল হাই আল হাদি,সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ (৫) ড: শাকিলা শিরিন সাধারণ সম্পাদক বিসিএস সাধারণ শিক্ষা অ্যাসোসিয়েশন সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ইউনিট(৬) জনাব মোঃ রেজাউল করিম সাধারণ সম্পাদক সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ শিক্ষক সদস্য(৭) প্রফেসর জনাব মোঃ হারুনুর রশিদ অধ্যক্ষ সরকারি আশিক মাহমুদ কলেজ (৮) প্রফেসর জনাব মোঃ আব্দুল হাকিম সভাপতি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা অ্যাসোসিয়েশন সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ইউনিট বক্তব্য রাখেন সারা দেশব্যাপী চলছে ২৫ টি ক্যাডারের কর্মসূচি মুল ফোকাছের কথা হচ্ছে ২৫ ক্যাডারের মধ্যে ১২জনকে অবৈধভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে না না কারণে নানা যুক্তি দেখিয়ে অথচ যারা বহিষ্কার করেছে তারা এখনো ক্ষমতার কেন্দ্রই রয়েছে। এবং তাদের অনেক সদস্য এর চেয়ে বড় অপরাধ করেছে কিন্তু তাদের কোন শাস্তি হয়নি,এটাই বৈষম্য মূলক আচরণ, এরকম বৈষম্যমূলক আচরণ বাংলাদেশের মানুষ কেউ প্রত্যাশা করে না, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সাথে সাক্ষাৎকারে বিদ্যমান ২৬ টি ক্যাডারের মধ্যে ২৫ টি ক্যাডারের পক্ষ থেকেই পেশা ভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং উপসচিব পদে কোটা বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। সমাজের বিভিন্ন স্তর হতে সিভিল সার্ভিসে পেশা দায়িত্ব কে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আহবান করা হয়েছে। রিপর্টের উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয়, পেশা ভিত্তিক মন্ত্রণালয়ের দাবি কে আগ্রহ করা, উপসচিব পদে কোটা পদ্ধতি বহাল রাখা, বিভিন্ন ক্যাডার ভিত্তিক নতুন জটিলতা তৈরি সকল ক্যাডার ক্ষমতা নিশ্চিত করার প্রস্তাব দিয়েছিল আন্ত্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ এবং সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের নেতৃবৃন্দ। সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে সে বিষয়ে তেমন কিছু উল্লেখ্য না থাকলেও প্রশাসন ক্যাডারের আরোও কিছু খাতায়নের প্রস্তাব লক্ষ্য করা যায়।

১।কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় (ক্যাডার যার,মন্ত্রণালয় তার) বাস্তবায়ন;
২। উপসচিব পদে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ;
৩। সকল ক্যাডারের ক্ষমতা স্থাপন; 
৪। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডার সহ সব ক্যাডারকে একই কমিশনের আওতায় রাখা; 
৫। পরিবার পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান ক্যাডার সার্ভিস অব্যাহত রাখা; 
৬। জেলা কমিশনকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বপ্রধানের প্রস্তাব বাতিল করা; 
৭। এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের পরিবর্তে ভূমি সার্ভিস বা ভূমি ব্যবস্থাপনা সার্ভিস নামকরণ; 
৮। দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সকল কমিশনে প্রশাসন ক্যাডারের নিয়োগ বন্ধ করা; 
৯। একটি ক্যাডারের দপ্তর হতে অন্য ক্যাডারের পদায়ন/পোষণ বন্ধ করা;
১০। প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থার প্রস্তাব বাতিল করা; 
১১। কার্যকর উপজেলা/জেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের শক্তিশালীকরন;
১২। বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় গণিত বিষয়কে বহাল রাখা। 
ফ্যাসিবাদ মুক্ত রাষ্ট্র গঠন করতে হলে সিভিল সার্ভিসের ফ্যাসিবাদ আগে দূর করতে হবে। ক্যাডার বৈষম্যের অবসান না হলে জনবান্ধব সিভিল সার্ভিস গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই আমরা বিশ্বাস করি জনগণের সরকার নিশ্চিত করতে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার এসব বৈষম্য দূর করার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

Post a Comment

أحدث أقدم
DailyKhobor.Com | ডেইলি খবর
DailyKhobor.Com | ডেইলি খবর