
মোতাহার হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধিঃ
টানা বর্ষণ ও ভয়াবহ পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বিধ্বস্ত শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী-বারোমারী সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এখনো। বিধ্বস্ত হওয়ার ৪মাস পেরোলেও মেরামত করা হয়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগের ২লেনের এ সড়কটি। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারী ছোট, মাঝারি ও ভারি যানবাহন ও পথচারীরা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানান, একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সড়কটি পরিদর্শন করার পর বরাদ্দ এসেছে। দ্রুত দুটি কালভার্ট নির্মাণসহ সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত ৫ অক্টোবর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয় সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুর। ওই বন্যার ভয়াবহতায় পানির তোড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী-বারোমারী সড়ক। এতে ২লেন সড়কের দুটি স্থানে বড় আকারে ভাঙনসহ সড়কের ২পাশে অন্তত ৩শ মিটার ভেঙে যায়। ফলে যান চলাচল বন্ধসহ ভোগান্তিতে রয়েছে এলাকাবাসী। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করে জনদুর্ভোগ কমাতে দ্রুত রাস্তা মেরামতসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার নন্নী উত্তরবন্দ এলাকায় কলেজের পাশে দু’টি স্থানে দুই লেনের এ সড়কটি এতোটাই গভীর ও ভয়াবহভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে যে হেঁটে মানুষ পারাপারের জন্য স্থানীয়ভাবে তৈরি করতে হয়েছে বাঁশের সাঁকো। রাস্তার দুটি অংশে ৬৫ মিটার দীর্ঘ গভীর খাদ ছাড়াও প্রায় এক কিঃমিঃ জুড়ে রাস্তার দু'পাশ ধসে খাদে পরিণত হয়েছে। এদিকে সড়কের এ বেহাল দশায় নাকুগাঁও স্থলবন্দর, বারোমারী মিশন, নন্নী-পোড়াগাঁও ইউনিয়ন ভুমি অফিস, বারোমারী বাজার, নন্নী উচ্চ বিদ্যালয়, নন্নী পোঁড়াগাও মৈত্রী কলেজ, নন্নী ইউনিয়ন পরিষদ, নন্নী উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পৌছতে ভোগান্তি পোহাতে হয় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের। তবে বন্যায় সড়কটি বিধ্বস্ত হওয়ার ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও মেরামত তো দূরের কথা, এক মুঠো মাটিও ফেলেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কর্তৃপক্ষ। যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা তৈরি করেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এদিকে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়াও ছোট-বড় সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে এ সড়কে। স্থানীয়রাসহ ওই পথে চলাচলকারী অন্যান্য এলাকার মানুষ ও মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ভাঙা সড়কের দুইপাশে বারবার যানবাহন পরিবর্তন করতে গিয়ে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বলেন, রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় আমাদের যাতায়াত খুব সমস্যা হচ্ছে। বার বার অটোগাড়ী বদল করে চলাচল করায় ভাড়াও বেশি লাগছে। সন্ধ্যা হয়ে গেলে এখন গাড়িও পাওয়া যায় না। এতে দৈনিক কলেজে যাতায়াতে সমস্যা হয়।
কৃষক ইউসুফ আলী বলেন, ভারী কোনো জিনিস নিয়ে এখন এ পথে যাতায়াত করতে পারি না। বাঁশের সাঁকো দিয়ে এই ভাঙা পথ পার হয়ে চলাচলে খুবই কষ্ট হয়।
এব্যাপারে সাবেক নন্নী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ একেএম মাহবুবুর রহমান রিটন বলেন, অতি গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দ্রুত মেরামত করা হলে খুব উপকার হতো।
শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিধ্বস্ত সড়কটি পরিদর্শন করে যাওয়ার পর আমরা সম্প্রতি বরাদ্দ পেয়েছি। ভাঙা অংশে দুটি কালভার্ট নির্মাণসহ নকশা করে বিধ্বস্ত সড়কটি দ্রুত মেরামত করা হবে।
টানা বর্ষণ ও ভয়াবহ পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বিধ্বস্ত শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী-বারোমারী সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এখনো। বিধ্বস্ত হওয়ার ৪মাস পেরোলেও মেরামত করা হয়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগের ২লেনের এ সড়কটি। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারী ছোট, মাঝারি ও ভারি যানবাহন ও পথচারীরা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানান, একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সড়কটি পরিদর্শন করার পর বরাদ্দ এসেছে। দ্রুত দুটি কালভার্ট নির্মাণসহ সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত ৫ অক্টোবর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয় সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুর। ওই বন্যার ভয়াবহতায় পানির তোড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী-বারোমারী সড়ক। এতে ২লেন সড়কের দুটি স্থানে বড় আকারে ভাঙনসহ সড়কের ২পাশে অন্তত ৩শ মিটার ভেঙে যায়। ফলে যান চলাচল বন্ধসহ ভোগান্তিতে রয়েছে এলাকাবাসী। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করে জনদুর্ভোগ কমাতে দ্রুত রাস্তা মেরামতসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার নন্নী উত্তরবন্দ এলাকায় কলেজের পাশে দু’টি স্থানে দুই লেনের এ সড়কটি এতোটাই গভীর ও ভয়াবহভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে যে হেঁটে মানুষ পারাপারের জন্য স্থানীয়ভাবে তৈরি করতে হয়েছে বাঁশের সাঁকো। রাস্তার দুটি অংশে ৬৫ মিটার দীর্ঘ গভীর খাদ ছাড়াও প্রায় এক কিঃমিঃ জুড়ে রাস্তার দু'পাশ ধসে খাদে পরিণত হয়েছে। এদিকে সড়কের এ বেহাল দশায় নাকুগাঁও স্থলবন্দর, বারোমারী মিশন, নন্নী-পোড়াগাঁও ইউনিয়ন ভুমি অফিস, বারোমারী বাজার, নন্নী উচ্চ বিদ্যালয়, নন্নী পোঁড়াগাও মৈত্রী কলেজ, নন্নী ইউনিয়ন পরিষদ, নন্নী উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পৌছতে ভোগান্তি পোহাতে হয় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের। তবে বন্যায় সড়কটি বিধ্বস্ত হওয়ার ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও মেরামত তো দূরের কথা, এক মুঠো মাটিও ফেলেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কর্তৃপক্ষ। যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা তৈরি করেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এদিকে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়াও ছোট-বড় সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে এ সড়কে। স্থানীয়রাসহ ওই পথে চলাচলকারী অন্যান্য এলাকার মানুষ ও মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ভাঙা সড়কের দুইপাশে বারবার যানবাহন পরিবর্তন করতে গিয়ে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বলেন, রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় আমাদের যাতায়াত খুব সমস্যা হচ্ছে। বার বার অটোগাড়ী বদল করে চলাচল করায় ভাড়াও বেশি লাগছে। সন্ধ্যা হয়ে গেলে এখন গাড়িও পাওয়া যায় না। এতে দৈনিক কলেজে যাতায়াতে সমস্যা হয়।
কৃষক ইউসুফ আলী বলেন, ভারী কোনো জিনিস নিয়ে এখন এ পথে যাতায়াত করতে পারি না। বাঁশের সাঁকো দিয়ে এই ভাঙা পথ পার হয়ে চলাচলে খুবই কষ্ট হয়।
এব্যাপারে সাবেক নন্নী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ একেএম মাহবুবুর রহমান রিটন বলেন, অতি গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দ্রুত মেরামত করা হলে খুব উপকার হতো।
শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিধ্বস্ত সড়কটি পরিদর্শন করে যাওয়ার পর আমরা সম্প্রতি বরাদ্দ পেয়েছি। ভাঙা অংশে দুটি কালভার্ট নির্মাণসহ নকশা করে বিধ্বস্ত সড়কটি দ্রুত মেরামত করা হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন