শুভ দোল পূর্ণিমা উৎসবে মেতেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা



আজ শুভ দোল পূর্ণিমা। এর আরেক নাম বসন্তোৎসব। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দ্বিতীয় বারে সাঙ্গু নদী চড়ে  দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। 

 বান্দরবানে হোলি উৎসবটি দোলযাত্রার দিন পালিত হয়। রঙের উৎসব দোল পূর্ণিমা। এই উৎসবে মেতেছে গোটা বান্দরবান । ঘড়ে কিংবা পারায় পারায় অথবা  নদীর চড়ে এইদিনটি আবিরের রঙে উদযাপন করা হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও যথাযত মর্যাদায় পালন করছেন দিনটি।

প্রতি বছরের বাঙালী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই দিনটিতে রঙ খেলায় আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে।  দোলযাত্রা যেন বসন্তের আহ্বান। এই উৎসবটি যেন জানিয়ে দেয় শীত বিদায় নিয়েছে, এসেছে বসন্তের ছোঁয়া। এই দিনটিতে বাঙালিরা একে অপরকে রঙে রাঙিয়ে দেয়। এই দিনে বাতাসে যেন একটাই সুর বয়ে চলে “রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও যাও গো এবার যাবার আগে”। এই বসন্ত উৎসবকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতি যেন এক বর্ণিল সাজে সেজে ওঠে।

ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির ও গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপিনীর সঙ্গে রঙ খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এর পর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রঙ খেলেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।

দোলযাত্রা উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিকও রয়েছে। এই দিন সকাল থেকেই নারীপুরুষ নির্বিশেষে আবির, গুলাল ও বিভিন্ন প্রকার রঙ নিয়ে খেলায় মত্ত হয়। দোলের পূর্বদিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ বহ্ন্যুৎসবের আয়োজন করা হয়। 


অসীম রায় (অশ্বিনী)
বান্দরবান, 01820030466

Post a Comment

أحدث أقدم
DailyKhobor.Com | ডেইলি খবর
DailyKhobor.Com | ডেইলি খবর