সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে বরিশাল অগ্রণী ভূমিকা রাখবে



বরিশাল প্রতিনিধি

ক্যাম্পাসের শহিদ চত্বরে রবিবার, ৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় দিবসটি উদযাপন করা হয়। শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারি ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শেখ মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “আজকে আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন এই কারণে ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধারা বরিশালকে মুক্ত করেছিলেন। ঐতিহাসিক এই দিনে দেশকে স্বাধীনতা দিতে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বরিশালমুক্ত দিবস পালনের আলাদা তাৎপর্য হচ্ছে, আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর যখনি কোনো আঘাত আসবে অতীতের মতো, যেভাবে একাত্তর সালে শত্রুদের পরাজিত করেছি সেইভাবে একসঙ্গে ঝাপিয়ে পড়বো। আমি বলবো, সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে বরিশাল অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।”

উত্তরণের সভাপতি সুদীপ্ত দাস বলেন, দিনটি আমাদের জন্য খুবই খুশির দিন। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ১৯৭১ সালের আজকের দিনে বরিশাল হানাদারমুক্ত হয়েছিল। কলেজের সব সাংস্কৃতিক সংগঠন একমঞ্চে আমরা দিনটিকে উদযাপন করছি।

সংস্কৃতিকর্মী মাহফুজ নুসরাত বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা দিনটি উদযাপন করছি। দেশের প্রেক্ষাপট যেমনই হোক আমাদের এমন ধৃষ্টতা নেই যে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের ভুলে যাবো। আমাদের আয়োজনের মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা ইতিহাস পৌঁছে দিচ্ছি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর গোলাম মোর্শেদ, সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি অসীম বড়াল, সাংস্কৃতিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক সাবরিনা মমতাজ শর্মীসহ তিন সংগঠনের কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।

উল্লেখ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরের আওতায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বরিশাল জেলা হানাদারমুক্ত হয় এই দিনে। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, শহীদ আলতাফ মাহমুদসহ ৪৩ জন শহিদ সরকারি ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন
DailyKhobor.Com | ডেইলি খবর
DailyKhobor.Com | ডেইলি খবর