অবৈধ ও মান নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ওষুধ তৈরি করায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার শনির আখড়া ও কদমতলী থানার পশ্চিম জুরাইন এলাকার দুইটি ফার্মাসিটিক্যালস্ প্রতিষ্ঠানকে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানিয়েছে, শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত র্যাব-৩ এ অভিযান চলে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায় ও ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মো. মহিদুল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অভিযান পরিচালনার সময় আদালত দেখতে পান শনির আখড়া মেডিসান ফার্মাসিটিক্যালস্ প্রতিষ্ঠানে ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোনো উপাদানের মান পরীক্ষা করা হয়নি। কোনো ধরনের রের্কডপত্র সংরক্ষণ না করে খেয়াল খুশি মতো উৎপাদন করছে বিভিন্ন ধরণের ওষুধ।
এমনকি ওষুধ উৎপাদনের ব্যাচের কোনো নমুনা ওষুধ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংরক্ষণ না করেই বাজারজাত করছে। তাই প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. আজিজ বাচ্চুকে (৫১) ছয় লাখ জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ধনিয়া এলাকায় অবস্থিত জেনিসিস ফার্মাসিটিক্যালস্ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানোর সময়ও একই চিত্র ধরা পড়ে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে।
প্রতিষ্ঠানটি ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়াই তৈরি করছে ২৩ ধরনের ঔষধ।
অভিযান পরিচালনার সময় কোনো ফার্মাসিস্ট ও হাকিমকে পাওয়া যায়নি। তাই প্রতিষ্ঠানটিকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা এবং এক মাসের মধ্যে মানোন্নয়ন ও লাইসেন্স করার নির্দেশনা দেন।
অপরদিকে একই এলাকায় বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ও কোন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া অবিশুদ্ধ পানির জার বাজারজাত করার অপরাধে তৌহিদ আবেদীন তনু (৩১) নামের একজনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সূত্র: যুগান্তর
Be First to Comment