পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে কৃষ্ণচূড়া সোনালু,প্রেমীদের মুগ্ধতা



গ্রীস্ত্রের সেই নিষ্প্রাণ রুক্ষতা ছাপিয়ে প্রকৃতিতে সোনালু, রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া নিজেকে মেলে ধরেছে আপন মহিমায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ গ্রাম-বাংলা ও শহরকে আলাদা ভাবে দৃষ্টিনন্দন কওে তোলেছে রক্তিম কৃষ্ণচূড়া, সোনালু  । গ্রীয়ের তীব্র গরম আর অবিরাম উষ্ণতায় যখন সমগ্র দেশ স্থবির ঠিক তখনই জেগে উঠেছে সোনাল,  কৃষ্ণচূড়ার রক্তিমতা।

কৃষ্ণচূড়ার এমন রূপের দেখা মেলে পাহাড় ঘেঁষে আকা বাঁকা পথে উচুতে কিংবা- শহিদ মিনার চত্বরে,      পর্যটন, অফিস আদালত চত্বর, খেলার মাঠে, স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠ,বাড়ির পাশে, ও বান্দরবান   জুড়ে। এ যেন লাল গালিচায় সাদর আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে ভ্রমণপিপাসু অতিথিদের।  ঐতিহাসিক রাজার মাঠে,  মেঘলা পর্যটন গেইট, সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয়, জেলা পরিষদ   প্রাঙ্গন, জেলা প্রসাশক, পুলিশ সুপার কার্যালয়, সদর হাসপাতাল, বন বিভাগ, আর পৌরভবন সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব কোণে ফুলে-ফুলে রঙিন বিশাল সোনালু,  কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ পথচারীদের বিনোদনের বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। তাছাড়া পার্ক, বান্দরবান  মহাসড়ক উপজেলার সর্বত্র কম-বেশি বাহারী রক্তিম কৃষ্ণচূড়ার, সোনালুর দেখা মেলে। স্নিগ্ধ সকাল, তপ্ত দুপুর কিংবা গৌধুলী বেলায় কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য অবলোকন করে পথচারীরা। 

স্কুল-কলেজ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রাঙ্গন সাজিয়ে নিয়েছে রক্তিম কৃষ্ণচূড়ায়। সমগ্র পাহাড় কন্যায় বান্দরবানে  কি পরিমান কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ রয়েছে তার সঠিক কোন তথ্য, উপাত্ত না থাকলেও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়। 

ফুলের নান্দনিক জৌলুস ক্লান্ত পথচারীদের মন রাঙিয়ে দেয়

অতীতে গ্রাম-গঞ্জে হাজার হাজার কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ থাকলেও সময় গড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা এখন শতাধিক সংখ্যায় পরিণত হয়েছে। ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা - 

সাইফুল ইসলাম  (দৈনিক সমকাল সার্কুলেশন ম্যানেজার) বলেন কৃষ্ণচূড়ার, সোনালুর রঙিন ফুলে সৃষ্টি করেছে বৈচিত্র্যময় পরিবেশ। ছোট বেলা থেকেই প্রকৃতির গহনাতুল্য নান্দনিক এ বৃক্ষের প্রতি রয়েছে আমার বিশেষ দুর্বলতা। এক সময় সারি সারি কৃষ্ণচূড়া,সোনালু গাছের সৌন্দর্য আর মাধুর্যে বাড়ির ঐতিহ্য ফুঠে উঠতো নব সাজে। নান্দনিক এ গাছের পরিবর্তে বাড়ি কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে এখন শোভা পাচ্ছে কড়ই, মেহগনি, আকাশী আর সেগুন গাছের বনায়ন। মেডিসিন  বিশেষজ্ঞ ডা. জ্যোতি মুরুং    বলেন,     সংলগ্ন আমার নতুন বাড়ির ছাদ থেকে দৃশ্যমান ঐতিহাসিক রাজার মাঠে  উত্তর-পূর্ব কোনে ফুলে ফুলে রঙিন বিশাল কৃষ্ণচূড়া, সোনালুর বৃক্ষটি বিনোদনের বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে দেখা দিয়েছে।' তিনি আরো বলেন, 'এক সময় ছুটির দিনে কর্মব্যস্থতার অবসরে কিংবা ঘুরাফেরা শেষে মনের ক্লান্তি দূর করতে কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে একটু আশ্রয় নিতাম।

বাচ্চারা লালে-লাল রঙিন ফুলগুলো নিয়ে খেলা করতো মনের আনন্দে, যা সত্যিই উপভোগ্য হয়ে উঠতো। প্রকৃতির সৌন্দর্যমণ্ডিত এ গাছগুলো অবাধে কাটা হলেও বৃক্ষরোপনের তালিকায় তেমন একটা স্থান পাচ্ছে না। 

বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী   শিক্ষক আমিনুল ইসলাম পরামানিক  বলেন,  বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাস ঘেঁষে দক্ষিণ   পূর্ব পাশে বিশাল দুটিকৃষ্ণচূড়া বৃক্ষের রক্তিম ফুল  আসা-যাওয়ার পথে নিয়মিত আনন্দ দিয়ে আসছে। 

কৃষ্ণচূড়ার রূপ-রসের সে সৌন্দর্য শুধু প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে নয় বরং পরিবেশ সচেতন ব্যক্তি ও পথচারীদের করছে বিমোহিত। এড: উবাথোয়াই  বলেন       কৃষ্ণচূড়া এক সময় প্রতিটি এলাকাকে রাঙিয়ে তুলতো। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও নতুন আদালত ভবনের সংযোগস্থলে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিমতা বারের আইনজীবীদের করছে বিমোহিত। কৃষ্ণচূড়ার ঝড়ে পড়া ফুলগুলো পাকা সড়কে এমন ভাবে পড়ে থাকে যেন কেউ আদালত প্রাঙ্গণে আগত অতিথিদের লাল গালিচা সংবর্ধনা দিচ্ছে।



অসীম রায় (অশ্বিনী)

বান্দরবান

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন
DailyKhobor.Com | ডেইলি খবর
DailyKhobor.Com | ডেইলি খবর